শুক্রবার, মার্চ ২৮, ২০২৫
Logo
The income of the couple is 40 by making thongs

কাগজের ঠোঙা তৈরি করেই দম্পতির আয় ৪০ হাজার

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশের সময়: ০৩ মার্চ, ২০২৪, ০২:১৯এএম

কাগজের ঠোঙা তৈরি করেই দম্পতির আয় ৪০ হাজার
চাঁদপুরে কাগজের ঠোঙা বিক্রি করে স্বাবলম্বী সাগর হোসেন ও লিপি বেগম দম্পতি (সংগৃহীত)

চাঁদপুরের কচুয়ার এক দম্পত্তির পরিবার কাগজের ঠোঙা ও বক্স তৈরি করে জীবিকায় ভাগ্যবদলের সাফল্য পেতে চলেছেন। তবে কাজটিতে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা ঋণ সুবিধা না পেলে দ্রুত সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে সমস্যা সৃষ্টি হবে বলে জানা গেছে। যদিও ইউএনও বলছেন, দ্রুতই এই ধরনের উদ্যোক্তাদের সহায়তায় সরকারিভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সাগর ও লিপি দম্পতি কচুয়ার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ভূঁইয়ারা গ্রামের বেপারী বাড়িতে থাকেন। জানা যায়, ঘরে বসে না থেকে সাগর হোসেন ও তার স্ত্রী লিপি বেগম শুধু কাগজের ঠোঙা ও বক্স তৈরি করেই মাসে আয় করছেন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। পরিশ্রম ও একাগ্রতা থাকলে যে কোনো কাজই সফলতা এনে দেয়। তার দৃষ্টান্ত প্রমাণ যেন এই দম্পতি। এক সময়ে পালাখাল বাজারের বাপ্পি সাহা প্যাকেজিং অ্যান্ড ফরেনে মাত্র ৩শ’ টাকা মজুরিতে কাজ করত মো. সাগর হোসেন। পরে সেখানের পারিশ্রমিক দিয়ে না পোষানোয় কয়েক মাস যাবৎ নিজ বাড়ির পাশেই দোকান ভাড়া নিয়ে সাগর নিজেই বনে যান উদ্যোক্তা। এখন সেখানেই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঠোঙা ও মিষ্টির প্যাকেট বক্স বানিয়ে ঘুচাচ্ছেন পরিবারের দারিদ্র্যতা।

বাপ্পি সাহা প্যাকেজিং অ্যান্ড ফরেনের ম্যানেজার মো. জুয়েল রানা জানান, সাগর যথেষ্ট ভালো কাজ করত। তবে আমরা তাকে যে টাকা দিতাম তাতে তার পোষাত না। পরে সে নিজে ব্যবসা দেওয়ার কথা জানালে আমরা তাকে কাজ থেকে নিঃসংকোচে যেতে দিয়ে স্বাগত জানাই।

ভূঁইয়ারা গ্রামের প্যাকেজিং কারিগর সাগর হোসেন জানান, আমি ঋণের টাকায় ১টি কাটিং মেশিন, ১টি ভাজ মেশিন কিনি। এরপর ১টি দুচালা টিনের দোকান ভাড়া নিয়ে সেখানে মেশিনগুলো স্থাপন করি। তারপর বাজার থেকে অটো বোর্ড, কাগজ, ময়দা, সুতা, পিন কিনে কাজ শুরু করি। কাজের মধ্যে মিষ্টির বক্স কাটিং করে তারপর ভাজ দিয়ে বক্সে লাসা লাগিয়ে এরপর বক্স শুকিয়ে মিষ্টির প্যাকেট করি। তবে মিষ্টির বক্সের চেয়ে কাগজের ঠোঙা বানানো অনেকটা সহজ।

সাগর হোসেন আরও জানান, ঠোঙ্গা ও মিষ্টির বক্স তৈরির যাবতীয় কাগজ ও বোর্ড ঢাকা থেকেই সংগ্রহ করতে হয়। নিজেদের পরিশ্রম ও যাবতীয় খরচ মিলিয়ে আমাদের প্রায় ২০ হাজার টাকা মাসে খরচ হয়। পরে সব খরছ বাদ দিয়েও গড়ে মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মতো ব্যবসায় লাভ থাকছে।

সাগরের স্ত্রী লিপি বেগমসহ এলাকার লোকজন বলেন, এই ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে সরকারিভাবে ঋণ সহায়তা প্রয়োজন। তাহলে সাগরের ব্যবসায়িক উন্নতি দেখে অন্যরাও এ ব্যবসায় আসতে আগ্রহ দেখাবে।