আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, শনিবার, মে ১১, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

drizzling rain

মাঘের শীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গার জনজীবন

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক:

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৫:৫৩ এএম

মাঘের শীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গার জনজীবন

চুয়াডাঙ্গায় হাড়কাঁপানো শীতের মধ্যেই টানা দুই ঘণ্টা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। এতে কৃষকসহ দিনমজুররা পড়েছেন চরম বিপাকে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর পৌনে ৬টা থেকে সকাল ৮টা ১০ মিনিট পর্যন্ত জেলায় ১৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও দুপুর ১২টায় রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াল তাপমাত্রা। এর আগে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে চুয়াডাঙ্গায় কয়েক দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার জেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো যথারীতি কার্যক্রম চলতে দেখা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, বুধবার আলোচনা করে বৃহস্পতিবার জেলার সকল মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে সম্ভাব্য জেলার পূর্বাভাস জেনে আলোচনা সাপেক্ষে সামনে সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান জানান, আজ বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াল। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে হলে স্কুল বন্ধের নির্দেশনার জন্য বলা হয়েছে। সেই অনুযায়ী আজ জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা রয়েছে। আমি জেলার বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেছি। ৬০-৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসেছে।

জেলা শহরে বেশ কিছু অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে শিক্ষার্থীরা ঘুম থেকে উঠতে চায় না। আমরাও তাদের চাপ দিই না। কুয়াশার কারণে অনেক বাচ্চা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

অপরদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে মানুষ খুব একটা বাইরে বের হয়নি। তবে সকালে রোদের দেখা মিললে মানুষের চলাচলও বেড়ে যায়।

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলা কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের শিপলু ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল ৯টায় ভেড়া চড়াতে মাঠে এসেছি। কুয়াশা ও বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের ৭৫ বছরের বৃদ্ধ আজিমুদ্দিন মণ্ডল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোরে বৃষ্টির সময় মাঠে এসেছি। নিজের পাঁচ বিঘা ধানের জমিতে একাই কাজ করেছি। বৃষ্টির পানি ও তীব্র শীতে হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। কষ্ট হলেও পেটের দায়ে কাজ করতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান  জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ভোরে ১৯.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আপাতত আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আকাশ দু-একদিন মেঘলা থাকতে পারে। আগামী ২০ তারিখের পর থেকে জেলায় তাপমাত্রা কমতে পারে অর্থাৎ মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0