আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

Gentle cold stream in Naogaon

নওগাঁয় মৃদু শৈত্য প্রবাহের মাঝেও চলছে বিদ্যালয়

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক:

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারী, ২০২৪, ০২:২০ পিএম

নওগাঁয় মৃদু শৈত্য প্রবাহের মাঝেও চলছে বিদ্যালয়

নওগাঁর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে চলেছে। মাঘের শুরুতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জেলায় তাপমাত্রার পারদ ৯ থেকে ১১ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করছে।

রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৬টা ও ৯টায় নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিস জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নামলে সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা যাবে। কিন্তু আজ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় (স্কুল) খোলা রয়েছে।  

সকালে নওগাঁ শহরের কয়েকটি স্কুল ঘুরে দেখা যায়, নওগাঁ পৌর এলাকার মধ্যে অবস্থিত সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রয়েছে। তবে স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিল কম।

নওগাঁ কৃষ্ণধন (কেডি) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসমত আলী বলেন, মঙ্গলবার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে একবার জানানো হয়েছিল বিদ্যালয় বন্ধ রাখতে হবে। তবে ওই নির্দেশনা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই আবারও জানানো হয়, বিদ্যালয় খোলা থাকবে। 

বিদ্যালয় খোলা থাকলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হচ্ছে না। তীব্র শীতের কারণে অনেক অভিভাবকই স্কুল বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করছেন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না পেলে স্কুল তো বন্ধ রাখা যায় না। দিনে রোদ ও রাতে শীত আরও বাড়তে পারে।

নওগাঁ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুর রহমান বলেন, শীতের কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি খুবই কম। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় বুধবার ও বৃহস্পতিবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে স্কুল বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্তু আজ স্কুল খোলা আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, তাপমাত্রা কোনো দিন কমছে, আবার কোনো দিন বাড়ছে। এ কারণে আমরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। গত মঙ্গলবার মাউশি থেকে নির্দেশনা আসে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলে স্কুল বন্ধ রাখা যাবে। এ ঘোষণা আসার পর গত বুধবার জেলার তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল।

পরদিন গত বৃহস্পতিবার আবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার আবার তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির ওপরে ছিল। গতকাল আবার তাপমাত্রা কমে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে। আজ আরও কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি।

লুৎফর রহমান বলেন, এখন হুট করে তো আর স্কুল বন্ধ করে দেওয়া যায় না। স্কুল বন্ধ করতে গেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। তারপর সেখান থেকে নির্দেশনা এলে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা যাবে।

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0