আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ২০, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

A child's life is at the crossroads of life and death while being circumcised

খৎনা করতে গিয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে শিশুর জীবন

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭ মার্চ, ২০২৪, ০৭:১৮ পিএম

খৎনা করতে গিয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে শিশুর জীবন
খৎনা করতে গিয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে শিশুর জীবন

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খৎনা করার সময় তামিম আহমেদ (১২) নামে এক শিশুর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার আউশকান্দি বাজারে অবস্থিত কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। ১৫ দিন আগে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা করে দেয় প্রশাসন।  গত রাতেই কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও চিকিৎসকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আহত শিশুর চাচা হারুন মিয়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আব্দুস শহীদের ছেলে তামিম আহমেদকে খৎনা করানোর জন্য আসা হয় আউশকান্দি বাজারে। ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তামিমকে ওই বাজারে অবস্থিত কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সুহুল আমিন ও চিকিৎসক ডা. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী জয় তালা খুলে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে খৎনা করানোর উদ্দেশ্যে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। হঠাৎ করে তামিম চিৎকার শুরু করলে তার বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজন অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করে দেখতে পান  মালিক ও চিকিৎসক তামিমকে চড়থাপ্পড় মারছেন। 

এ সময় তামিমের বাবা-মা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি ঘেরাও করে রাখেন। এ সময় স্থানীয়রা শিশু তামিমকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে পাঠান। 

এদিকে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ আহমদ আজাদসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকপক্ষ সাংবাদিকদের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা যায়, ১৫ দিন আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে অনুমোদন ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিকে সিলগালা করে দেন।

এ বিষয়ে শিশু তামিমের চাচা ও মামলার বাদী হারুন মিয়া বলেন, খৎনা করার নামে ভুল অপারেশন করে আমার ভাতিজার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছে। এতে অনেক রক্তক্ষরণ হয়। সে ব্যথায় চিৎকার করে কান্নাকাটি করলে চিকিৎসক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক তাকে মারপিট করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমি নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছি।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার জানান, ১৫ দিন আগে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়েছিল। সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি কেন খোলা হলো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। নবীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0