রবিবার, ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২৫
Logo
Mustard oil is drawn by horses

ঘোড়া দিয়ে ঘানি টেনে সরিষার তেল, ফোটায় ফোটায় বের হয় বিশ্বাস

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক:

প্রকাশের সময়: ০৮ মার্চ, ২০২৪, ০৫:২০এএম

ঘোড়া দিয়ে ঘানি টেনে সরিষার তেল, ফোটায় ফোটায় বের হয় বিশ্বাস
ঘোড়া দিয়ে ঘানি টেনে সরিষার তেল।....সংগৃহীত ছবি

ঘোড়ার পায়ের খট-খট শব্দে ঘুরছে কাঠের তৈরি ঘানি। ঘানির ভেতরে রয়েছে সরিষা। কাঠের হাতলের চাপে সরিষা ভেঙে একটি পাত্রে ফোটায় ফোটায় চুইয়ে পড়ছে বিশুদ্ধ সরিষার তেল। এভাবেই প্রায় চার বছর ধরে সরিষা থেকে তেল সংগ্রহ করছেন শহিদুল ইসলাম। জিইয়ে রেখেছেন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। 

এমন দৃশ্য দেখা যায় রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া সালফারাম এলাকায়। শহিদুল ইসলাম উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের ভরনিয়া সালফারাম গ্রামের মৃত. নুর মোহাম্মদের ছেলে। চারদিকে যখন অবিশ্বাস আর ভেজালে সয়লাব। তখন চোখের সামনেই ঘরের দুয়ারে খাঁটি তেলের ঘানি। কালচে সোনালী রঙ্গের ফোটায় ফোটায় তেলের সঙ্গে বের হয় বিশ্বাস। 

এই তেলে রয়েছে অনেক প্রয়োজনীয় ও পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান। যারা এর সঠিক গুণাগুণ সম্পর্কে ধারণা রাখেন, তারা এখনো ঘানিতে ভাঙ্গা সরিষার তেল ব্যবহার করেন। স্থানীয় মাসুম ও আশরাফুল বলেন, শহিদুল বাড়ির পাশে খোলা জায়গায় ঘানিতে তেল ভাঙায়, দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই উৎসাহ নিয়ে তেল ভাঙা দেখতে আসে। সরাসরি নিজে চোখে দেখে এখান থেকে খাঁটি সরিষার তেল নিয়ে যায়। ঘোড়া দিয়ে ঘানি টেনে সরিষার তেল সংগ্রহ সচরাচর দেখা মিলে না। 

শহিদুল ইসলাম বলেন, তার ঘানিতে একবারে ৫ কেজি সরিষা ভাঙানো যায়। একদিনে পর্যায়ক্রমে দুই থেকে তিন বার সরিষা ভাঙানো যায়। প্রতিদিন এই ঘানি থেকে ৭ শত থেকে ৮ শত টাকা আয় হয় তার। ঘানির তেল বিক্রি করে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে চলছে সুখের সংসার। ঘানির ঘোড়া ঘোরানো সময় চোখ বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘোরার সময় চোখ খোলা থাকলে ঘোর লাগে। এ ছাড়া কুকুর-বিড়াল দেখলে ঘোড়া ঘুরতে চায় না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তির দাপটে বিলুপ্তর পথে ঘানিশিল্প। ঘানি ভাঙা তেল শতভাগ খাঁটি হয়। কারণ এতে কোনো ক্যামিকেল মেশানো হয় না। এতে তেলের গুণগত মান ঠিক থাকে।

বিবিএন/ ৮ মার্চ / অচ