আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ১৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

Israel's response to Hamas's ceasefire proposal

হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ০৩:২০ এএম

হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল
হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল

হামাস কাছে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের ছবি

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলেছে, তারা গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল শনিবার তাতে আনুষ্ঠানিক সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল। এ বিষয়ে আরও পর্যবেক্ষণ করে হামাসের পক্ষ থেকে উত্তর দেওয়া হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির উপ প্রধান খলিল আল-হাইয়া। খবর রয়টার্সের।

শনিবার প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, যিনি বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন-‘গত ১৩ এপ্রিল মিশরীয় এবং কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে হামাসের উপস্থাপিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইহুদিবাদী দখলদারিত্ব।’

এদিকে একটি মিশরীয় প্রতিনিধি দল শুক্রবার ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার জন্য ইসরায়েল সফর করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মিশরীয় কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলের কাছে নতুন কোনো প্রস্তাব নেই, যদিও তারা সীমিত যুদ্ধবিরতি বিবেচনা করতে ইচ্ছুক, বিনিময়ে হামাস ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে, যেখানে পূর্বের আলোচনায় ৪০ জিম্মির মুক্তির দাবি করেছিল ইসরায়েল।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য ১৭টি দেশ গাজা যুদ্ধ শেষ করার পথ হিসেবে হামাসের কাছে তাদের সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল।

যদিও হামাস আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তবে শুক্রবার জারি করা একটি বিবৃতিতে এটি বলেছে, ‘আমাদের জনগণের চাহিদা এবং অধিকারকে বিবেচনা করে এমন কোনও ধারণা বা প্রস্তাবের জন্য উন্মুক্ত।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকমাস ধরে কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় গাজায় একটি বন্দি বিনিময় চুক্তি এবং যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ একাধিক বিশ্ব নেতা দাবি করেছিলেন রমজান মাস শুরুর আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে। তবে রমজান শেষ হলেও গাজায় যুদ্ধবিরতি এখনো অনিশ্চিত।

এদিকে গত মাসের শেষের দিকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বৈঠক করেছেন ইসরায়েল, কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। সেই বৈঠক শেষে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস এবং ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন মিসর ও কাতারের কর্মকর্তারা।

সেই বৈঠকেই হামাসকে ৪০ দিন যুদ্ধবিরতির একটি খসড়া প্রস্তাব দিয়েছে মধ্যস্থতাকারী দুই দেশ কাতার ও মিসর। তবে কয়েক দফায় বৈঠক হলেও, কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েল। এতে কোনো ফলাফল ছাড়াই যুদ্ধবিরতির আলোচনা শেষ হয়েছে।

মূলত, গাজায় ২য় বার যুদ্ধবিরতির জন্য একাধিক বার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার কাছে। কিন্তু প্রতিটি প্রস্তাবে হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। আর হামাসের এই দাবির কারণে কোনও প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি ইসরায়েল। ফলে আটকে আছে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। পাশাপাশি ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।

তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। চার মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশেরও বেশি নারীও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

গত বছরের নভেম্বরে কাতারের মধ্যস্থতায় প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২৪০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ৭১ জন মহিলা এবং ১৬৯টি শিশু রয়েছে। বিনিময়ে ২৪ বিদেশিসহ মোট ১০৫ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। হামাসের কাছে এখনো প্রায় ১৩৪ জন জিম্মি রয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের।

বিবিএন-এসডি

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0