আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ২০, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

The floodlights of the stadium are being removed

আবারো রাজশাহীর ক্রীড়াঙ্গণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি ॥ খুলে নেয়া হচ্ছে স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট গুলো

Bijoy Bangla

শাহানুর রহমান রানা

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৬:৩৫ পিএম

আবারো রাজশাহীর ক্রীড়াঙ্গণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি ॥ খুলে নেয়া হচ্ছে স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট গুলো
আবারো রাজশাহীর ক্রীড়াঙ্গণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি ॥ খুলে নেয়া হচ্ছে স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটগুলো

আবারো বিভাগীয় শহর রাজশাহীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে খুলে নেয়া হচ্ছে স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটগুলো। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামের পর এবার শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে খুলে নেয়া হচ্ছে ফ্লাডলাইটগুলো। সূত্র বলছে সিলেটে বিপিএল খেলা চলছে বিধায় এই লাইটগুলো সেখানে স্থাপন করা হবে। বিসিবি’র আদেশে এই ফ্লাডলাইটগুলো খুলে নেয়া হচ্ছে বলে জানায় সূত্র। স্থানীয়দের বাঁধার মূখে যেনো পড়তে না হয় সেকারণ রাতের আধারে সেগুলো নিয়ে যাবার কৌশল হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ বলে মন্তব্য অনেকের।

সূত্র আরো বলছে, এরআগে রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে লাগানো ফ্লাডলাইটগুলো খুলে লাগানো হয়েছিল খুলনা স্টেডিয়ামে। পরবর্তীতে সেগুলো আবারো রাজশাহী স্টেডিয়ামে প্রতিস্থাপন করার কথা থাকলেও আজও সেগুলো আর ফেরত আসেনি। সেই ধারাবাহিকতায় আজ ১৮ জানুয়ারী বিকেলে বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে ফ্লাউলাইটগুলো খুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিলেটের এম.এ আজিজ স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়ামটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি কর্তৃক পরিচালিত। রাজশাহী অঞ্চলের ক্রিকেট জনপ্রিয় করতেই স্টেডিয়ামটি গড়ে তোলা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামটি ২০০৪ সালে নির্মিত হয় এবং এর ধারণক্ষমতা ৩৫,০০০। এই স্টেডিয়ামে ২০০৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের তিনটি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ এবং ২০১০ সালের দক্ষিণ এশীয় গেমসের চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া ইন্দো-বাংলা খেলায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটিও অনুষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম। এটি জাতীয় ক্রিকেট লিগের রাজশাহী বিভাগের হোম গ্রাউন্ড। এই স্টেডিয়ামের পাশে ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমী অবস্থিত।

ক্রীড়া অনুরাগী ও প্লেয়ার মেকার হিসেবে এই রাজশাহী যথেষ্ট কতর ছিল ক্রিকেট ক্রীড়াঙ্গণে। আর সেকারণেই রাজশাহী মানুষের চাহিদা ও প্রয়োজন মেটাতে রাজশাহীর দুটো স্টেডিয়ামে স্থাপন করা হয়েছিল ফ্লাডলাইট। রাজশাহী শহরের স্টেডিয়ামগুলোকে রাত্রিকালীন (ডে-নাইট) সময়ে খেলাধুলার আয়োজন থেকে চিরতরে বঞ্চিত করার অভিপ্রায় থেকেই হয়তো এমন পদক্ষেপ নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা বলে মন্তব্য স্থানীয়দের। স্থানীয়রা এবিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে আরো বলেন, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে এগুলো খুলে নিয়ে যাবার অর্থ হলো, শুধু রাজশাহী শহরই নয়, এখানে পরোক্ষভাবে অবমাননা ও হেয়পতিপন্ন করা হচ্ছে জাতীয় চারনেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানকেও। এটা মেনে নেয়া যায়না। 

সূত্র বলছে, এবিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন অবগত নন। উনাকে বিষয়টি না জানিয়েই বিভাগীয় শহর থেকে দ্বিতীয়বারের মতো খুলে নেয়া হচ্ছে স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটগুলো। এবিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র লিটন বলেন, বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। এরআগেও মুক্তিযোদ্ধা স্টেডিয়াম থেকে ফ্লাডলাইট খুলে অন্যত্র নেয়া হয়েছিল। আজও সেগুলো ফেরত আসেনি। 

সূত্র আরো বলছে, ২০১২ সালে একদফা ও ২০১৫ সালে আরেক দফা ফ্লাডলাইট থেকে কিছু বাল্ব খুলে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়। তারপর সেই বাল্বগুলো রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আর ফিরে আসেনি। বাকি যেগুলো আছে সেগুলোরও ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ নেই। গুদামজাত করে রাখা হয়েছে বাল্বগুলো। আর অন্যদিকে, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট আছে তারও আগে থেকে। বেশ কয়েক বছর আগে একটি ফ্লাডলাইট টাওয়ার ভেঙে পড়েছে ঝড়ে। আরেকটিতে ধরেছে ফাটল। চট্টগ্রামের স্টেডিয়ামের জন্য এখানকারও কিছু বাল্ব খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা স্টেডিয়ামে ২০ হাজারের বেশি দর্শকের বসার সুবিধা আছে।

এমন এহেন কর্মকান্ডের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে প্রতি আক্ষেপ প্রকাশ করেন রাজশাহী শহরে ক্রীড়ানুরাগীরা। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিরূপ মন্তব্য করেন। 


google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0