প্রখর রৌদ্রের তীব্র গরমে রেললাইন বেঁকে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে– এ শঙ্কায় ট্রেনের গতি কমানোর নির্দেশনা দিয়েছে বাংদেশ রেলওয়ে কতৃপক্ষ। যেসব সেকশন পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ, সেখানে রেললাইনের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি হলে ৪০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংস্থাটির পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, সারাদেশে নয়, বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে গতি কমানো হবে। উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী পথ (পিডব্লিউআই) রেললাইনের তাপ পরিমাপ করবেন। তাপমাত্রা ঐ এলাকায় ৫০ ডিগ্রির বেশি হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ট্রেনের গতি কমানোর নির্দেশ দেবে। একই তথ্য জানিয়েছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলামও।
তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি হলে তীব্র রোদের কারণে লোহার রেলপথ গরম হয়ে যায়। এ সময় রেললাইনের নিজস্ব তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। ফলে গরমে রেললাইন সম্প্রসারণ হয় এবং স্লিপার ভালো না হলে এতে অনেক রেলপথ বাঁকা হয়ে ট্রেন লাইনচ্যুত হতে পারে। প্রত্যেক রেলের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মীদের কাছে রেললাইনের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র রয়েছে। তারা মেপে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেলেই গতি কমানোর নির্দেশনা দেবেন।
লোহার পাত জোড়া দিয়ে সমান্তরাল রেললাইন বসানো হয়। জোড়াগুলোর জায়গাতে সামান্য ফাঁকা রাখা হয়, যাতে তাপে লোহার সম্প্রসারণ হলে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। তবে অত্যধিক তাপে সম্প্রসারণ বেশি হয়ে গেলে দুর্ঘটনার শঙ্কা বেড়ে যায়।
নতুন রেলপথ এবং অধিকাংশ মূল রেললাইনের আকার ৬০-৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও অপরিবর্তিত থাকে। সেখানে গতি কমানোর প্রয়োজন হয় না, কিন্তু পুরোনো লাইনে টেম্পার কমে যাওয়ায় সমস্যা হয় বলেও জানান পশ্চিম রেলের এ-ই উর্ধতন কর্মকর্তা।
বিবিএন/১৮এপ্রিল/এসডি