বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় আম পাড়ার সময়সীমা নিধারিত করা হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করেনি স্থানীয় জেলা প্রশাসন। গাছে আম ফল পাকা দেখা দিলেই তা পাড়তে পারবে আম চাষিরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ১১টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘ম্যাংগো ক্যালেন্ডার’ প্রণয়ন এবং নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদন, বিপণন, পরিবহন বাজারজাত করণের লক্ষ্যে আয়োজিত প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আম গবেষক, কৃষি কর্মকর্তা এবং আম চাষিদের মতামতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খানের সভাপতিত্বে সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহবুব-উল ইসলাম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ পলাশ সরকার, আম গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোখলেসুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক, শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার, বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের জেলা প্রতিনিধিসহ আরোও অনেকে।
সভায় রেলপথে আম পরিবহন, কুরিয়ার সার্ভিসের পরিবহন সেবার মান বৃদ্ধি, আমের বাজারদর এবং নিরাপদ আম উৎপাদনে করণীয় বিষয়ে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বক্তব্য ও মতামত দেন।
জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খান বলেন, আম গবেষক, কৃষি কর্মকর্তা এবং আম চাষিদের মতামতের ভিত্তিতেই আম পাড়ার নির্দিষ্ট সময় এইবার বেঁধে দেওয়া হচ্ছে না। গাছে আম পাকা দেখা দিলেই বাজারজাত করতে পারবেন চাষিরা। অপরিপক্ব আম বাজারজাত করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া তিনি ভোক্তা অধিকার ও স্থানীয়ে প্রশাসনকে আমের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পলাশ সরকার বলেন, এই বছর আমের জন্য অফ ইয়ার। তাই গত বারের তুলনায় ফলন কম হবে।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এই বছর চার লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। যা গত বছর ছিল ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিল টন।