আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

On the 95th birthday of Martyr Jahanara Imam

শহীদজননী জাহানারা ইমামের ৯৫তম জন্মদিবসে আলোচনা সভা

Bijoy Bangla

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৪ মে, ২০২৪, ০৭:০৫ এএম

শহীদজননী জাহানারা ইমামের ৯৫তম জন্মদিবসে আলোচনা সভা
শহীদজননী জাহানারা ইমামের ৯৫তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে ‘শহীদ জননীর আন্দোলন, তারুণ্যের প্রতি আহ্বান‘ শীর্ষক আলোচনা সভা।

শহীদজননী জাহানারা ইমামের ৯৫তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে ‘শহীদ জননীর আন্দোলন, তারুণ্যের প্রতি আহ্বান‘ শীর্ষক আলোচনা সভা করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি,রাজশাহী জেলা ও মহানগর। আজ ৩ মে ২০২৪ শুক্রবার বিকাল ৫টায় শাহ্‌মখদুম কলেজ মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা আয়োজিত হয়। জেলা নির্মূল কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান আলী বরজাহান এর সভাপতিত্বে এবং নারী ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সায়মা খাতুন বিথীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহানগর নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী তামিম শিরাজী।

শুরুতে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একমিনিট নিরাবতা পালন করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর নির্মূল কমিটির সভাপতি আব্দুল লতিফ চঞ্চল, জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোছনা আরা খাতুন, মহানগর সহ সভাপতি আশরাফুল ইসলাম সুলতান, সাবেক মহানগর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বাদশা, মহানগর সদস্য ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হেমব্রম, মহানগর দপ্তর সম্পাদক ওয়ালিউর শেখ, নারী ইউনিটের সভাপতি হালিমা কুমকুম, যুব ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ, পবা থানা সভাপতি আসগর আলী লবি, স্টুডেন্ট ফ্রন্টের সাধারণ  সম্পাদক আরাফাত হোসেন।

প্রধান আলোচক অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান বলেন, “ শহীদজননী জাহানারা ইমাম যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন গড়ে তোলেন, তাঁর সেই আন্দোলনের নাম একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। নির্মূল কমিটি তাদের কাঙ্ক্ষিত সফলতা পেয়েছে যুদ্ধাপরাধীর বিচার হয়েছে যা আজো চলমান। একথা অত্যান্ত সত্য যে শহীদ জননী ও তাঁর হাতে গড়া সংগঠন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলন ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব ছিল না। ৭৫ পরবর্তী সংকট কাটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার দীর্ঘদিন পর রাষ্ট্রক্ষমতায় এসছিলেন তাঁরই আন্দোলনের ফলে একথাও অস্বীকার করবার কোন জায়গা নেই। বঙ্গবন্ধু ছাড়া যেমন বাংলাদেশ হতো না ঠিক তেমনি শহীদ জননী ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এই বাংলায় হতোনা। আমরা লক্ষ্য করছি দেশ ক্রমাগত সংকটময় অবস্থার দিকে  ধাবিত হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক মৌলবাদ নতুন ভাবে আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। ধর্মের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, ফকির লালনের গান ফেসবুকে পোষ্ট দিলে জেল হচ্ছে, নিরীহ মানুষের ঘর বাড়ি লুটপাট চলছে, সর্বপরি দেশে পাকিস্তানবাদ কায়েমের দেশি এবং বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। এই অবস্থা চলতে দেওয়া যায়না, এর বিরুদ্ধে তরুণ সমাজকেই রুখে দাঁড়াতে হবে।

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0